ত্বকের যত্ন

সারাদিনের পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও ধুলোবালির কারণে ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারায়। দিনের শেষে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়, কখনও নেওয়া হয় না! কিন্তু ঘুমের আগে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। ত্বককে সতেজ, সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে সঠিক ত্বকের যত্ন অপরিহার্য।


যারা নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে তাদের ত্বকের যত্ন নেন, তারা সবসময় বেশ কিছু উপকার পান। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। ঘুম মানে বিশ্রাম। এই বিশ্রামের সময় ত্বক অনেক কাজ করে। সারাদিন চামড়ার ওপর অনেক অত্যাচার। যেমন ধুলো-বালি, দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, কাজের প্রভাব ও মানসিক চাপ ইত্যাদি এসব কারণে রাতে ত্বকের ক্ষতি হয় । একে ত্বকের পুনর্জন্ম বলা হয়।


এছাড়া ঘুমের মাধ্যমে ত্বক থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। ঘুমের সময় কোলাজেন বৃদ্ধি পায়। কোলাজেনকে বলা হয় ত্বকের সৌন্দর্যের উপাদান। মূলত ঘুমের সময় ত্বক ক্লান্ত হলে বা সারাদিন ত্বকে ধুলো, বালি, ময়লা, মেকআপ, ঘাম জমে থাকলে ত্বক এসব কাজ ভালোভাবে করতে পারে না। ত্বক তার সৌন্দর্য হারায়। তাই ঘুমের আগে যত্ন নেওয়া জরুরি।


আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজে যাই। কাজের চাপ বা সময়ের অভাবে ত্বকের যত্ন আর ঠিকমতো নেওয়া হয় না। বাইরে গেলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর সানস্ক্রিন বা সানব্লক লাগানোর কথা, সেটা হচ্ছে না। রান্না করার আগে বা চুলার তাপে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগানো প্রায়ই করা হয় না। পর্যাপ্ত পানি পান করা, মুখ ভালোভাবে ধোয়ার ক্ষেত্রেও অবহেলা হতে পারে।


সারাদিন এসব যত্ন না থাকলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন নেওয়া এই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে। আবার দিনভর ধুলো-বালির কারণে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমালে এগুলো খুলে যায়, ব্রণ কমায়। আসলে, ত্বকের কোষগুলি রাতে পুনরুত্থিত হয়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘুমানোর আগে যত্ন নিলে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর করার প্রক্রিয়া বাড়ে।


রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্নে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এ বিষয়ে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, পরিষ্কার করে ডিপ ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ঘুমালে ত্বক থাকবে আর্দ্র ও মসৃণ। এ সময় অনেকেই আই ক্রিম লাগান। এটিও বেশ উপকারী। এটি চোখের নিচের কালো দাগ কমায়। সারা বছরই অনেকের হাত, পা বা চামড়া ফাটা থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে লোশন, অলিভ অয়েল ইত্যাদি লাগালে ত্বক মসৃণ ও সুন্দর হয়।